পৃষ্ঠাটি লোড হচ্ছে . . .
দয়াকরে অপেক্ষা করুন।
"লোডিং সময়" আপনার ইন্টারনেট স্পিড এর উপর নির্ভরশীল।
প্রশ্ন: বাতাসের নাইট্রোজেন কীভাবে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করে? ১৫তম বিসিএস
| (ক) সরাসরি মাটিতে মিশ্রিত হয়ে জৈব প্রস্তুত করে | (খ) পানিতে মিশে মাটিতে শোষিত হওয়ার ফলে |
| (গ) মাটির অজৈব লবণনে পরিবর্তিত করে | (ঘ) ব্যাকটেরিয়ার সাহায্যে উদ্ভিদের গ্রহণ উপযোগী বস্তু প্রস্তুত করে |
উত্তর: পানিতে মিশে মাটিতে শোষিত হওয়ার ফলে
প্রশ্ন লিস্ট করে পড়তে লগইন করুন।
প্রশ্ন: ‘গ্রীন হাউজ ইফেক্টের’ পরিণতিতে বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুতর প্রত্যক্ষ ক্ষতি কি হবে? ১৫তম বিসিএস
| (ক) নিন্মভূমি নিমজ্জিত হবে | (খ) সাইক্লোনের প্রবণতা বাড়বে |
| (গ) উত্তাপ অনেক বেড়ে যাবে | (ঘ) বৃষ্টিপাত কমে যাবে |
উত্তর: নিন্মভূমি নিমজ্জিত হবে
গ্রিনহাউস প্রভাবের কারণে বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুতর প্রত্যক্ষ ক্ষতি হলো সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, যার ফলে দেশের বিশাল নিম্নভূমি, বিশেষ করে উপকূলীয় অঞ্চল প্লাবিত হয়ে যাবে, লক্ষ লক্ষ মানুষ বাস্তুচ্যুত হবে এবং দেশের ভূ-ভাগের একটি বড় অংশ পানির নিচে তলিয়ে যাবে, যা কৃষি ও অন্যান্য জীবনযাত্রাকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করবে।
প্রধান ক্ষতিগুলো হলো:
উপকূলীয় নিমজ্জন: সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ার সাথে সাথে বাংলাদেশের নিচু এলাকা, বিশেষ করে সুন্দরবন ও উপকূলীয় জেলাগুলো স্থায়ীভাবে পানির নিচে তলিয়ে যাবে।
জনসংখ্যার বাস্তুচ্যুতি: সমুদ্রের উচ্চতা ১ মিটার বাড়লে দেশের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ (২০%) মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং লক্ষ লক্ষ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে জলবায়ু শরণার্থীতে পরিণত হবে।
কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা: লবণাক্ত পানি ঢুকে কৃষি জমি অনাবাদী হয়ে পড়বে, যা খাদ্য উৎপাদনে বড় ধরনের সংকট তৈরি করবে।
অবকাঠামোগত ক্ষতি: রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি, এবং অন্যান্য অবকাঠামো প্লাবিত ও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব: অতিবৃষ্টি, খরা, এবং ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের তীব্রতা ও সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে, যা আরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ঘটাবে
প্রশ্ন লিস্ট করে পড়তে লগইন করুন।
প্রশ্ন: নিত্য ব্যবহার্য বহু ‘অ্যারোসলের’ কৌটায় এখন লেখা থাকে সি.এফ.সি বিহীন।সি.এফ.সি গ্যাস কেন ক্ষতিকারক? ১৫তম বিসিএস
| (ক) গ্রীন হাউজ এফেক্টে অবদান রাখে | (খ) দাহ্য বলে অগ্নিকান্ডের সৃষ্টি করে |
| (গ) ফুসফুসে রোগ সৃষ্টি করে | (ঘ) ওজোন স্তরে ফুটো তৈরি করে |
উত্তর: ওজোন স্তরে ফুটো তৈরি করে
সি.এফ.সি (CFC - Chlorofluorocarbon) গ্যাস অত্যন্ত ক্ষতিকর কারণ এটি বায়ুমণ্ডলের ওজোন স্তর-কে ধ্বংস করে, যার ফলে সূর্য থেকে আসা ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি (UV rays) সরাসরি পৃথিবীতে পৌঁছায় এবং মানুষ ও পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করে, যেমন—ত্বকের ক্যান্সার, ছানি পড়া, ফসলহানি, এবং জলজ প্রাণীর ক্ষতি। এটি গ্রিনহাউস গ্যাস হিসেবেও কাজ করে, যা বৈশ্বিক উষ্ণায়নে অবদান রাখে। সি.এফ.সি গ্যাসের ক্ষতিকর দিক: ওজোন স্তর ক্ষয়: বায়ুমণ্ডলে নির্গত সি.এফ.সি গ্যাস উপরের স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে পৌঁছায়। সেখানে অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাবে ক্লোরিন পরমাণু মুক্ত হয়, যা ওজোন (\(O_{3}\)) অণুকে ভেঙে দেয় এবং ওজোন স্তরে বড় ছিদ্র (ozone hole) তৈরি করে।স্বাস্থ্য ঝুঁকি: ওজোন স্তর ক্ষয় হওয়ায় ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি (UV-B) পৃথিবীতে আসে, যা ত্বকের ক্যান্সার, চোখের ছানি এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার কারণ হতে পারে।পরিবেশগত প্রভাব: এটি গ্রিনহাউস গ্যাস হওয়ায় বৈশ্বিক উষ্ণায়নের সমস্যা বাড়ায় এবং পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে।নিরব ঘাতক: এটি নিজে দাহ্য বা বিষাক্ত না হলেও, ওজোন স্তরের ক্ষতি করার কারণে এটি 'নিরব ঘাতক' (silent killer) হিসেবে পরিচিত।
প্রশ্ন লিস্ট করে পড়তে লগইন করুন।
প্রশ্ন: আল্ট্রাসনোগ্রাফী কী? ১৫তম বিসিএস
| (ক) নতুন ধরনের এক্সরে | (খ) ছোট তরঙ্গদৈর্ঘ্যের শব্দের দ্বারা ইমেজিং |
| (গ) শরীরের অভ্যন্তরের শব্দ বিশ্লেষণ | (ঘ) শক্তিশালী শব্দ দিয়ে পিত্তা পাথর বিচূর্ণকরণ |
উত্তর: ছোট তরঙ্গদৈর্ঘ্যের শব্দের দ্বারা ইমেজিং
আল্ট্রাসনোগ্রাম (Ultrasonogram) হলো এক ধরনের ডায়াগনস্টিক পরীক্ষা, যা উচ্চ-কম্পাঙ্কের শব্দ তরঙ্গ ব্যবহার করে শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ছবি তৈরি করে; একে আল্ট্রাসাউন্ড বা ইউএসজি (USG) নামেও ডাকা হয়, যা রোগ নির্ণয়, বিশেষত গর্ভবতী মা ও শিশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা, পেটে ব্যথা বা আঘাতের কারণ বোঝা এবং অঙ্গের আকার ও ঘনত্ব পর্যবেক্ষণে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়
প্রশ্ন লিস্ট করে পড়তে লগইন করুন।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের তড়িৎ-এর কম্পাংক প্রতি সেকেন্ডে ৫০ সাইকেল-এর তাৎপর্য কি? ১৫তম বিসিএস
| (ক) প্রতি সেকেন্ডে বিদ্যুৎ প্রবাহ ৫০ একক দৈর্ঘ্য অতিক্রম করে | (খ) কোনটীই নয় |
| (গ) প্রতি সেকেন্ডে বিদ্যুৎ প্রবাহ ৫০ বার দিক বদলায় | (ঘ) প্রতি সেকেন্ডে বিদ্যুৎ প্রবাহ ৫০ বার উঠানামা করে |
উত্তর: প্রতি সেকেন্ডে বিদ্যুৎ প্রবাহ ৫০ বার দিক বদলায়
বাংলাদেশের তড়িৎ-এর কম্পাঙ্ক প্রতি সেকেন্ডে ৫০ সাইকেল (50Hz) হওয়ার তাৎপর্য হলো, বিদ্যুৎ প্রবাহ প্রতি সেকেন্ডে ৫০ বার তার দিক পরিবর্তন করে বা উঠানামা করে, যা আমাদের घरों যন্ত্রপাতি (যেমন: পাখা, বাতি) সঠিকভাবে চালানোর জন্য একটি আদর্শ ও স্ট্যান্ডার্ড মান, যাতে যন্ত্রগুলো মসৃণভাবে ও নিরাপদে কাজ করতে পারে
প্রশ্ন লিস্ট করে পড়তে লগইন করুন।
প্রশ্ন: নদীর একপাশ থেকে গুন টেনে নৌকাকে মাঝনদীতে রেখেই সামনের দিকে নেয়া সম্ভব হয় কিভাবে? ১৫তম বিসিএস
| (ক) যথাযথভাবে হাল ঘুরিয়ে | (খ) গুন টানার সময় টানটি সাম্নের দিকে রেখে |
| (গ) নদী স্রোতের ব্যবহার করে | (ঘ) পাল ব্যবহার করে |
উত্তর: যথাযথভাবে হাল ঘুরিয়ে
নদীর একপাশ থেকে গুন টেনেও নৌকাকে মাঝনদীতে রেখে সামনে এগোনো সম্ভব হয়, কারণ গুণের টান দুটি ভাগে ভাগ হয়ে কাজ করে: একটি নৌকাকে সামনে এবং অন্যটি নৌকাকে পাড়ের দিকে টানে, আর মাঝি হাল ঘুরিয়ে পাড়ের দিকে যাওয়া বলকে প্রশমিত (cancel) করে দেন, ফলে নৌকার সামনের দিকে যাওয়ার বলটিই প্রধান হয়ে ওঠে, যা নৌকাকে মাঝনদীতে রেখেও এগিয়ে যেতে সাহায্য করে
প্রশ্ন লিস্ট করে পড়তে লগইন করুন।
প্রশ্ন: আকাশ নীল দেখায় কেন? ১৫তম বিসিএস
| (ক) নীল আলোর বিক্ষেপণ অপেক্ষাকৃত বেশি বলে | (খ) নীল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য বেমি বলে |
| (গ) নীল আলোর প্রতিফলন বেশি বলে | (ঘ) নীল সমুদ্রের প্রতিফলনের ফলে |
উত্তর: নীল আলোর বিক্ষেপণ অপেক্ষাকৃত বেশি বলে
আলোর বিক্ষেপণের কারণে আকাশ নীল দেখায়। সূর্যের আলোকরশ্মি যখন পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে, তখন বায়ুমণ্ডলের গ্যাসীয় অণু ও ধূলিকণা দ্বারা এটি বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়ে। এই ছড়িয়ে পড়া আলোর মধ্যে নীল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে কম হওয়ায় এটি সবচেয়ে বেশি বিক্ষিপ্ত হয় এবং আমাদের চোখে দৃশ্যমান হয়। তাই পরিষ্কার আকাশকে নীল দেখায়।
আলোর বিক্ষেপণ: সূর্যের আলোতে নীল, বেগুনি, সবুজ, হলুদ, কমলা এবং লাল — এই সব রঙের আলো মিশ্রিত থাকে, যাদের তরঙ্গদৈর্ঘ্য ভিন্ন।
কম তরঙ্গদৈর্ঘ্য: নীল ও বেগুনি আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে কম, আর লাল ও কমলা আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি।
নীল আলোর আধিক্য: বায়ুমণ্ডলের গ্যাসীয় অণু (যেমন নাইট্রোজেন ও অক্সিজেন) ছোট তরঙ্গদৈর্ঘ্যের নীল ও বেগুনি আলোকে সবচেয়ে বেশি বিক্ষিপ্ত করে।
চোখের সংবেদনশীলতা: বেগুনি আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য নীলের চেয়েও কম হলেও, মানুষের চোখ নীল আলোর প্রতি বেশি সংবেদনশীল, তাই আমরা আকাশকে নীল দেখি, বেগুনি নয়।
প্রশ্ন লিস্ট করে পড়তে লগইন করুন।
প্রশ্ন: যে ভূমিতে ফসল জন্মায় না- ১৫তম বিসিএস
| (ক) পতিত | (খ) ঊষর |
| (গ) বন্ধ্যা | (ঘ) অনুর্বর |
উত্তর: ঊষর
যে ভূমিতে ফসল জন্মায় না, তাকে এক কথায় ঊষর বা অনুর্বর বলা হয়। এটি এমন এক ধরনের জমি যা চাষাবাদের জন্য উপযুক্ত নয় এবং উর্বরতার অভাবের কারণে শস্য উৎপাদন করতে পারে না।
ঊষর: যে জমিতে ফসল জন্মায় না (সঠিক উত্তর)।
অনুর্বর: যে জমি উর্বর নয় বা যেখানে ভালো ফসল হয় না।
পতিত: যে জমি চাষ করা হয় না বা পড়ে থাকে।
প্রশ্ন লিস্ট করে পড়তে লগইন করুন।