পৃষ্ঠাটি লোড হচ্ছে . . .
দয়াকরে অপেক্ষা করুন।
"লোডিং সময়" আপনার ইন্টারনেট স্পিড এর উপর নির্ভরশীল।
প্রশ্ন: ঐতিহাসিক ২১ দফার প্রথম দফা কি ছিল? ২০১৯
(ক) প্রাদেশিক স্বায়ত্বশাসন | (খ) বিনা ক্ষতিপূরণে জমিদারি উচ্ছেদ |
(গ) পূর্ব বাংলার অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর করা | (ঘ) বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে করা |
উত্তর: বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে করা
একুশ দফা ১৯৫৪ সালে পূর্ব বাংলা প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন মুসলিম লীগের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং পূর্ব বাংলায় মুসলিম লীগ শাসনের অবসানের উদ্দেশ্যে আওয়ামী মুসলীম লীগ, কৃষক-শ্রমিক পার্টি, নেজামে ইসলাম এবং গণতন্ত্রী দলের সমন্বয়ে ১৯৫৩ সালের ৪ ডিসেম্বর যুক্তফ্রন্ট নামে একটি নির্বাচনী মোর্চা গঠিত হয়। এর প্রধান উদ্যোক্তা ছিলেন কৃষক-শ্রমিক পার্টির সভাপতি এ. কে. ফজলুল হক, আওয়ামী মুসলীম লীগের সভাপতি মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী এবং নেতা হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী। যুক্তফ্রন্টের পক্ষ থেকে ২১টি প্রতিশ্রুতি সহকারে যে নির্বাচনী কর্মসূচী ঘোষণা করা হয় তা একুশ দফা কর্মসূচী নামে পরিচিত।
একুশ দফা কর্মসূচী
১ বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করা হবে।
২ বিনা ক্ষতিপূরণে জমিদারি ও সমস্ত খাজনা আদায়কারী স্বত্ব উচ্ছেদ ও রহিত করে উদ্বৃত্ত জমি ভূমিহীন কৃষকদের মধ্যে বিতরণ এবং খাজনা হ্রাস ও সার্টিফিকেট মারফত খাজনা আদায় রহিত করা হবে।
৩ পাট ব্যবসা জাতীয়করণ এবং তা পূর্ববঙ্গ সরকারের প্রত্যক্ষ পরিচালনায় আনা এবং মুসলিম লীগ শাসনামলের পাট কেলেঙ্কারির তদন্ত ও অপরাধীর শাস্তি বিধান করা।
৪ কৃষিতে সমবায় প্রথা প্রবর্তন এবং সরকারি সাহায্যে কুটির শিল্পের উন্নয়ন।
৫ পূর্ববঙ্গকে লবণ শিল্পে স্বয়ংসম্পূর্ণ করা।
৬ কারিগর শ্রেনীর গরিব মোহাজেরদের কর্মসংস্থানের আশু ব্যবস্থা।
৭ খাল খনন ও সেচ ব্যবস্থার মাধ্যমে দেশে বন্যা ও দূর্ভিক্ষ রোধ।
৮ পূর্ববঙ্গে কৃষি ও শিল্প খাতের আধুনিকায়নের মাধ্যমে দেশকে স্বাবলম্বী করা এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (ILO) মূলনীতি মাফিক শ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠা।
৯ দেশের সর্বত্র অবৈতনিক বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষার প্রবর্তন এবং শিক্ষকদের ন্যায্য বেতন ও ভাতার ব্যবস্থা।
১০ শিক্ষাব্যবস্থার আমূল সংস্কার, মাতৃভাষায় শিক্ষাদান, সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যালয়ের ভেদাভেদ বিলোপ করে সকল বিদ্যালয়কে সরকারি সাহায্যপুষ্ট প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা।
১১ ঢাকা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আইন প্রভৃতি প্রতিক্রিয়াশীল আইন বাতিল এবং উচ্চশিক্ষা সহজলভ্য করা।
১২ শাসনব্যয় হ্রাস, যুক্তফ্রন্টের কোনো মন্ত্রীর এক হাজার টাকার বেশি বেতন গ্রহণ না করা।
১৩ দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও ঘুষ-রিশ্ওয়াত বন্ধের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ।
১৪ জননিরাপত্তা আইন, অর্ডিন্যান্স ও অনুরূপ কালাকানুন বাতিল, বিনাবিচারে আটক বন্দির মুক্তি, রাষ্ট্রদ্রোহিতায় অভিযুক্তদের প্রকাশ্য আদালতে বিচার এবং সংবাদপত্র ও সভাসমিতি করার অবাধ অধিকার নিশ্চিত করা।
১৫ বিচারবিভাগকে শাসনবিভাগ থেকে পৃথক করা।
১৬ বর্ধমান হাউসের পরিবর্তে কম বিলাসের বাড়িতে যুক্তফ্রন্টের প্রধান মন্ত্রীর অবস্থান করা এবং বর্ধমান হাউসকে প্রথমে ছাত্রাবাস ও পরে বাংলা ভাষার গবেষণাগারে পরিণত করা।
১৭ রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে শহীদদের স্মৃতিচিহ্নস্বরূপ ঘটনাস্থলে শহীদ মিনার নির্মাণ করা এবং শহীদদের পরিবারবর্গকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া।
১৮ একুশে ফেব্রুয়ারিকে শহীদ দিবস এবং সরকারি ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করা।
১৯ লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে পূর্ববঙ্গের পূর্ণ স্বায়ত্তসাশন এবং দেশরক্ষা, পররাষ্ট্র ও মূদ্রা ব্যতীত সকল বিষয় পূর্ববঙ্গ সরকারের অধীনে আনয়ন, দেশরক্ষা ক্ষেত্রে স্থলবাহিনীর হেডকোয়ার্টার পশ্চিম পাকিস্তানে এবং নৌবাহিনীর হেডকোয়ার্টার পূর্ব পাকিস্তানে স্থাপন এবং পূর্ব পাকিস্তানে অস্ত্রনির্মাণ কারখানা স্থাপন ও আনসার বাহিনীকে সশস্ত্র বাহিনীতে পরিণত করা।
২০ কোনো অজুহাতে যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রিসভা কর্তৃক আইন পরিষদের আয়ু না বাড়ানো এবং আয়ু শেষ হওয়ার ছয়মাস পূর্বে মন্ত্রিসভার পদত্যাগপূর্বক নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা।
২১ যুক্তফ্রন্টের আমলে সৃষ্ট শূন্য আসন তিন মাসের মধ্যে উপনির্বাচনের ব্যবস্থা করা এবং পরপর তিনটি উপনির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট প্রার্থী পরাজিত হলে মন্ত্রিসভার পদত্যাগ করা।
প্রশ্ন লিস্ট করে পড়তে লগইন করুন।
where_to_voteপ্রশ্ন: বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন কোন গানবোটের Engine Room Artificer নিযুক্ত ছিলেন? ২০১৯
(ক) বখতিয়ার | (খ) পদ্য |
(গ) পলাশ | (ঘ) বাংলার দূত |
উত্তর: পলাশ
জন্মঃ ১৯৩৫ বাঘপাঁচড়া গ্রাম, নোয়াখালী
মৃত্যুঃ ১০ ডিসেম্বর ১৯৭১ (বয়স ৩৫–৩৬)
জাতীয়তাঃ বাংলাদেশি
নাগরিকত্বঃ ব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত)
পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে)
বাংলাদেশ
পেশাঃ ইআরএ-১ (ইঞ্জিন রুম আর্টিফিসার-১)
১৯৭৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর সরকারি গেজেট নোটিফিকেশন অনুযায়ী বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সাতজন বীর সন্তানকে মরণোত্তর বীরশ্রেষ্ঠ উপাধিতে ভূষিত করা হয়েছে। রুহুল আমিন সেই সাতজনের অন্যতম।
প্রশ্ন লিস্ট করে পড়তে লগইন করুন।
where_to_voteপ্রশ্ন: বাংলাদেশের বেসামরিক প্রশাসন চালুর জন্য শেখ মুজিবুর রহমান ৩৫ টি বিধি জারি করেন কবে? ২০১৯
(ক) ৭ মার্চ ১৯৭১ | (খ) ১৯ মার্চ ১৯৭১ |
(গ) ১৫ মার্চ ১৯৭১ | (ঘ) ১২ মার্চ ১৯৭১ |
উত্তর: ১৫ মার্চ ১৯৭১
মার্চ
মার্চ ১: ইয়াহিয়া খান জাতীয় পরিষদ-এর অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেন।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একে ষড়যন্ত্র আখ্যা দিয়ে ৩রা মার্চ দেশের সব জায়গায় হরতাল আহ্বান করেন।গভর্নর আহসানকে পদচ্যুত করে লে: জেনারেল সাহেবজাদা ইয়াকুব খানকে পূর্ব পাকিস্তানের সামরিক আইন প্রশাসকের দায়িত্ব দেয়া হয়।
মার্চ ২: শেখ মুজিবুর রহমান সংসদ স্থগিতের সিদ্ধান্ত না মানার ঘোষণা দিয়ে ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে গণ জমায়েতের আহ্বান জানান।ঢাকায় হরতাল পালিত হয় পূর্ব ঘোষণা অনুসারে।ঢাকা বিমানবন্দরে সামরিক বাহিনীর প্রবেশকে বাধা দেয়ার সময় সেনাবাহিনীর গুলিতে দু'জন নিহত হন।৩ মার্চ থেকে ৬ মার্চ দেশব্যাপী হরতালের কর্মসূচী অপরিবর্তিত রাখা হয়।অপরদিকে সামরিক জান্তা সংবাদপত্রের উপর বিধি-নিষেধ আরোপ করে নতুন আদেশ জারি করে।
মার্চ ৩: সারা দেশে পূর্ণ হরতাল পালিত হয়। চট্টগ্রামে বহু লোক সেনাবাহিনীর গুলিতে মারা যায়।বঙ্গবন্ধু দেশব্যাপী অহিংস অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন।অন্যদিকে সামরিক সরকার কার্ফু্ জারি করে।প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া ১০ মার্চ জাতীয় পরিষদের নেতাদের বৈঠক আহ্বান করেন । শেখ মুজিব একে প্রত্যাখ্যান করেন।
মার্চ ৪: সেনাবাহিনীর সাথে জনসাধারণের সংঘর্ষে শতাধিক লোক হতাহত হন যার ফলশ্রুতিতে ঢাকাসহ পূর্ব পাকিস্তানের প্রধান প্রধান শহরে কার্ফু জারি করা হয়।নুরুল আমিন ইয়াহিয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখান করেন। সামরিক বাহিনী ব্যারাকে ফিরে না গেলে তাদের প্রতিহত করা হবে বলে শেখ মুজিব ঘোষণা দেন। স্টেট ব্যাংকসহ অন্যান্য ব্যাংক হরতালের সময় শুধু বেতন দেয়ার জন্য দু'ঘণ্টা খোলা রাখার জন্য তিনি নির্দেশ দেন।
মার্চ ৫: ইয়াহিয়ার সঙ্গে ভুট্টোর আলোচনা চলে।অন্যদিকে ঢাকা ও টঙ্গীতে বিক্ষুব্ধ জনতার উপর গুলিবর্ষণে শতাধিক লোক নিহত এবং আরও অনেকে আহত হন।
মার্চ ৬: ইয়াহিয়া বেতার ভাষণে ২৫ মার্চ জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহ্বান করেন।ভুট্টোর পিপলস পার্টি অধিবেশনে যোগ দিতে অস্বীকৃতি জানায়।অন্যদিকে সামরিক জান্তা পূর্ব পাকিস্তানে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর শক্তি বৃদ্ধি করছে বলে আওয়ামী লীগ অভিযোগ করে।ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার ভেঙ্গে কয়েদিরা পালানোর সময় রক্ষীদের গুলিতে ৭ জন নিহত ও ৩০ জন আহত হয়।এদিকে জেনারেল টিক্কা খানকে একই সাথে পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর ও সামরিক আইন প্রশাসকের দায়িত্বে নিযুক্ত করা হয়।
মার্চ ৭: সাতই মার্চের ভাষণ - শেখ মুজিবুর রহমান - নির্বাচনে সদ্য জয়ী হওয়া আওয়ামী লীগ এর নেতা, রেসকোর্স ময়দানে ঘোষণা করেন , "এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম "
সেই ঐতিহাসিক ভাষণে তিনি নিম্নলিখিত চারটি শর্ত প্রদান করেন--
১। সামরিক আইন প্রত্যাহার করা
২। জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা
৩। সামরিক বাহিনীকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নেয়া এবং
৪। গণহত্যা সম্পর্কে তদন্ত করা।
শর্ত চারটি পূরণ করা হলে আওয়ামী লীগ অধিবেশনে যোগ দেবে কি দেবে না তা বিবেচনা করবে বলে তিনি জানান।অন্যদিকে ঢাকা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিক্কা খানের শপথ গ্রহণে অস্বীকৃতি জানান।
মার্চ ৮: দেশব্যাপী অসহযোগ আন্দোলন নতুন উদ্যমে শুরু হয়।জায়গায় জায়গায় কালো পতাকা উত্তোলন আর সংগ্রাম কমিটি গঠন করা হয়।সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক ও অন্যান্য বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পশ্চিম পাকিস্তানের লেনদেন বন্ধ হয়ে যায়।ঢাকা হাইকোর্টের সব বিচারপতি টিক্কা খানের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান পরিচালনায় অস্বীকৃতি জানান।
মার্চ ৯: পূর্ব বাংলার স্বাধীনতা স্বীকার করে নেয়ার জন্য মওলানা ভাসানী উদাত্ত আহ্বান জানান।তিনি ১৪ দফার ভিত্তিতে আন্দোলনের ডাক দেন।সামরিক বাহিনীর পশ্চিম পাকিস্তানি অফিসারদের পরিবারবর্গকে পশ্চিম পাকিস্তানে পাঠানো শুরু হয়।
মার্চ ১০: সরকারের এক ঘোষণায় জানায় যে, সাম্প্রতিক বিভিন্ন সংঘর্ষে শতাধিক ব্যক্তি নিহত হয়।
মার্চ ১১: সাড়ে সাত কোটি মানুষের মানবিক অধিকার আদায়ের সপক্ষে সমর্থন দান করার জন্য শেখ মুজিব জাতিসংঘের মহাসচিব উথান্টের কাছে আহ্বান জানান।
মার্চ ১২: শেখ মুজিবের সাথে আলোচনা শেষ করে এয়ার ভাইস মার্শাল(অব.) আজগর খান করাচিতে বলেন যে, শেখ মুজিব হচ্ছেন পূর্ব আর পশ্চিমের ক্ষীয়মাণ সম্পর্কের শেষ সংলাপ।তিনি ঢাকায় কোনো পাকিস্তানের পতাকা দেখেননি বলে জানান।
মার্চ ১৩: মওলানা ভাসানী রাজবন্দীদের মুক্ত করার জন্য 'জেল ভাঙ্গা' নামে এক আন্দোলনের ডাক দেন।ইয়াহিয়া লাহোরে সর্বদলীয় বৈঠক আহ্বান করেন।কিন্তু ঢাকায় বৈঠক হলে তাতে যোগ দেবেন বলে শেখ মুজিব সম্মতি প্রদান করেন।
মার্চ ১৪: সামরিক আইন লঙ্ঘন করে মিছিল সভা চলতে থাকে। বেসামরিক প্রশাসন পশ্চিম পাকিস্তানি নীতি অনুযায়ী কাজ করা থেকে বিরত থাকে।
মার্চ ১৫: শেখ মুজিব আওয়ামী লীগের সংখ্যাগরিষ্ঠতার দাবিতে বাংলাদেশের শাসন নিজ হাতে নেয়ার ঘোষণা দেন এবং কাজ-কর্ম পরিচালনার জন্য ৩৫ টি বিধি জারি করেন। মাত্র দুটি ব্যাংকে সরকারকে দেয় কর প্রদানের নির্দেশ দেন।সামরিক প্রহরায় প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া ঢাকায় আসেন।জাতির উদ্দেশ্যে ২৩ মার্চ ভাষণ প্রদানের ঘোষণা দেন।
মার্চ ১৬: প্রথম দফায় শেখ মুজিবের সাথে ইয়াহিয়ার আড়াই ঘণ্টা বৈঠক হয়।চট্টগ্রাম বন্দরের শ্রমিক-কর্মচারীরা চীন থেকে আমদানি করা সমরাস্ত্রবাহী জাহাজের মাল খালাসে অস্বীকৃতি জানায়।স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ এক বিবৃতিতে পূর্ব পাকিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার দাবি করে।
মার্চ ১৭: মুজিব-ইয়াহিয়া বৈঠক দ্বিতীয় দফায় চলে । বেসামরিক প্রশাসনকে সাহায্য করার জন্য কোন অবস্থার প্রেক্ষিতে ২ মার্চ থেকে ৯ মার্চ পর্যন্ত সামরিক বাহিনী তলব করা হয়েছিল, সে সম্পর্কে তদন্ত করার জন্য সামরিক কর্তৃপক্ষের কমিশন নিয়োগ করা হয়।
প্রশ্ন লিস্ট করে পড়তে লগইন করুন।
where_to_voteপ্রশ্ন: মুজিবনগরে নতুন সরকার গঠনের ঘোষণাপত্র কে পাঠ করেন? ২০১৯
(ক) জেনারেল ওসমানী | (খ) অধ্যাপক এম ইউসুফ আলী |
(গ) অধ্যাপক এম এ হান্নান | (ঘ) তাজউদ্দীন আহমদ |
উত্তর: অধ্যাপক এম ইউসুফ আলী
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তান সামরিক বাহিনী ঢাকা এবং তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের অন্যান্য অংশে আক্রমণ চালিয়ে ব্যাপক গণহত্যা চালায়। এই গণহত্যার প্রাক্কালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ, গণপরিষদ ও প্রাদেশিক পরিষদের সদস্যগণ নিরাপত্তার জন্য সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে গিয়ে আশ্রয় নেন। ৩০ মার্চের মধ্যেই তাদের অনেকে কলকাতায় সমবেত হন। প্রাদেশিক পরিষদের যে সকল সদস্য ১০ এপ্রিলের মধ্যে কলকাতায় পৌছতে সক্ষম হন তাদের নিয়ে তাজউদ্দীন আহমদ মন্ত্রিপরিষদ গঠন করেন। তার নির্দেশেই অধ্যাপক রেহমান সোবহান আরো কয়েকজনের সাহায্য নিয়ে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের একটি খসড়া প্রণয়ন করেন।এরপর ব্যারিস্টার আমীর-উল-ইসলাম এই ঘোষণাপত্রের আইনগত দিকগুলো সংশোধন করে একে পূর্ণতা দান করেন। এই ঘোষণাপত্রটি প্রথমে ১০ এপ্রিল মুজিবনগর থেকে প্রচার করা হয়।এরপর আবার ১৭ এপ্রিল তারিখে মেহেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী স্থান বৈদ্যনাথতলায় (পরবর্তী নাম মুজিবনগর) এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে গণপরিষদের সদস্য অধ্যাপক এম ইউসুফ আলী আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন। এই ঘোষণার মাধ্যমে নবগঠিত প্রবাসী আইন পরিষদ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব ঘোষণা করে সাথে সাথে এ ঘোষণাপত্র প্রবাসী সরকারের অবস্থান ও যৌক্তিকতা দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠা করে। এদিনই ২৬ মার্চের স্বাধীনতার ঘোষণাকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন দেয়া হয় এবং একই সাথে ২৬ মার্চ থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা কার্যকর হয়েছে বলে ঘোষণা করা হয়। এর ফলে প্রবাসী মুজিবনগর সরকারও বৈধ বলে স্বীকৃত হয়। এ ঘোষণায় মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকলের মধ্যে চেইন অফ কমান্ড স্থাপনের নির্দেশ দেয়া হয়।
প্রশ্ন লিস্ট করে পড়তে লগইন করুন।
where_to_voteপ্রশ্ন: কত সালে পাকিস্তান গণপরিষদ বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি দেয়? ২০১৯
(ক) ১৯৫২ সালে | (খ) ১৯৫৪ সালে |
(গ) ১৯৫৩ সালে | (ঘ) ১৯৫৫ সালে |
উত্তর: ১৯৫৪ সালে
১৯৫৪
৩ এপ্রিল ১৯৫৪ : মাওলানা ভাসানী, এ কে ফজলুল হক এবং হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্ট পূর্ব-পাকিস্তানের প্রাদেশিক শাসনভার গ্রহণ করে । ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে পূর্ব-বাংলার জনগণের যে জাগরণ শুরু হয় তার ফলেই প্রথমবারের মত মুসলিম লীগ বিতারিত হয় প্রাদেশিক সরকার হতে ।
৭ মে ১৯৫৪: যুক্তফ্রন্ট সরকারের উদ্যোগে পাকিস্তান সরকার বাংলাকে একটি রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকার করে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করে ।
১৯৫৫
৩ ডিসেম্বর ১৯৫৫ : ভাষা আন্দোলনের ছাত্র-জনতার অন্যতম দাবী বাংলা একাডেমি আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে ।
১৯৫৬
১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৬ : পাকিস্তানের গণপরিষদে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি প্রদান করে তা সংবিধানের অন্তর্গত করার জন্য প্রস্তাব উত্থাপিত হয় ।
শহীদ বরকতের মা হাসিনা বেগম শহীদ মিনারের উদ্বোধন করেন ২১শে ফেব্রুয়ারি, ১৯৫৬।
২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৬ : প্রাদেশিক প্রধানমন্ত্রী আবু হোসেন সরকার কর্তৃক শহীদ মিনারের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন । ১৯৬৩ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি শহীদ আবুল বরকতের মা হাসিনা বেগম কর্তৃক এই শহীদ মিনারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয় ।
২৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৬ : পাকিস্তান জাতীয় সংসদে বাংলা এবং উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দিয়ে সংবিধান পাশ করে ।
৩ মার্চ ১৯৫৬ : বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি প্রদানকারী পাকিস্তানের সংবিধান এইদিন থেকে কার্যকর হয় এবং ১৯৪৭ সালের সেপ্টেম্বরে তমদ্দুন মজলিশের মাধ্যমে মায়ের ভাষায় কথা বলার যে আন্দোলনের শুরু হয়েছিল তার সাফল্য অর্জিত হয়
প্রশ্ন লিস্ট করে পড়তে লগইন করুন।
where_to_voteপ্রশ্ন: পাকিস্তানের প্রথম জাতীয় পরিষদের নির্বাচন কত সালে অনুষ্ঠিত হয়? ২০১৯
(ক) ১৯৬২ সালে | (খ) ১৯৭০ সালে |
(গ) ১৯৬৬ সালে | (ঘ) ১৯৫৪ সালে |
উত্তর: ১৯৭০ সালে
ইয়াহিয়া খানের সামরিক শাসনামলে ১৯৭০ সনে পাকিস্তানে প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। পূর্ব পাকিস্তানে ১৯৭০ সনের অক্টোবরে নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও বন্যার কারণে ডিসেম্বর পর্যন্ত পিছিয়ে যায়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ১৯৭১ এর জানুয়ারি পর্যন্ত পিছিয়ে যায়।
রাজনৈতিক দল ও প্রার্থী
নির্বাচনে মোট ২৪ টি দল অংশ নেয়। ৩০০ টি আসনে মোট ১,৯৫৭ জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেয়। এর পর কিছু প্রার্থী তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেয়। মনোনয়নপত্র বাছাই শেষে ১,৫৭৯ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দীতা করে। আওয়ামী লীগ ১৭০ আসনে প্রার্থী দেয়। এর মধ্যে ১৬২টি আসন পূর্ব পাকিস্তানে এবং অবশিষ্টগুলি পশ্চিম পাকিস্তানে। জামায়াতে ইসলামী দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রার্থী দেয়। তাদের প্রার্থী সংখ্যা ১৫১। পাকিস্তান পিপলস পার্টি মাত্র ১২০ আসনে প্রার্থী দেয়। তার মধ্যে ১০৩ টি ছিল পাঞ্জাব ও সিন্ধু প্রদেশে। পূর্ব পাকিস্তানে তারা কোন প্রার্থী দেয়নি। পিএমএল (কনভেনশন) ১২৪ আসনে, পিএমএল (কাউন্সিল) ১১৯ আসনে এবং পাকিস্তান মুসলিম লীগ (কাইয়ুম) ১৩৩ আসনে প্রতিদ্বন্দীতা করে।
নির্বাচনে জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ এবং প্রায় ৬৫% ভোট পড়েছে বলে সরকার দাবী করে। সর্বমোট ৫৬,৯৪১,৫০০ রেজিস্টার্ড ভোটারের মধ্যে ৩১,২১১,২২০ জন পূর্ব পাকিস্তানের এবং ২৩,৭৩০,২৮০ জন ছিল পশ্চিম পাকিস্তানের ভোটার।
জাতীয় পরিষদ নির্বাচনের ফলাফল
দল -------------------------------------- প্রাপ্ত ভোট (%) -- মোট আসন
আওয়ামী লীগ ---------------------------৩৮.৩%-----------১৬০
পাকিস্তান পিপলস পার্টি------------------১৯.৫%------------৮১
পিএমএল (কাইয়ুম)-----------------------৪.৫%--------------৯
পিএমএল (কনভেনশন)------------------৩.৩%---------------৭
জমিয়ত উলেমা -ই- ইসলাম---------------৪.০%--------------৭
মারকাজি জমিয়তন-উলেমা-পাকিস্তান -----৪.০%--------------৭
ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ওয়ালি)-----------২.৩%-------------৬
জামায়াত-ই-ইসলামী------------------------৬.০%------------৪
পিএমএল (কাউন্সিল)------------------------৬.০%------------২
পিডিপি--------------------------------------২.৯%-----------১
স্বতন্ত্র-----------------------------------------৭.১%-----------১৪
মোট -----------------------------------------১০০%---------৩০০
প্রশ্ন লিস্ট করে পড়তে লগইন করুন।
where_to_voteপ্রশ্ন: বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সর্বপ্রথম নিচের কোন এলাকা মুক্ত হয়? ২০১৯
(ক) সিলেট | (খ) বরিশাল |
(গ) যশোর | (ঘ) খুলনা |
উত্তর: যশোর
মুক্তিযুদ্ধকালীন ১১টি সামরিক সেক্টরের মধ্যে যশোর ছিল ৮ নম্বর সেক্টর। মূলত বৃহত্তর যশোর ও কুষ্টিয়া জেলা, ফরিদপুর ও খুলনা জেলার কিছু অংশ ছিল ৮ নম্বর সেক্টরের আওতায়। এর সদর দফতর ছিল যশোরের বেনাপোলে। এ সেক্টরের প্রথম কমান্ডার ছিলেন মেজর আবু ওসমান চৌধুরী। আগস্ট মাস থেকে সেক্টর কমান্ডারের দায়িত্ব নেন মেজর এমএ মঞ্জুর। তার অধীনে ছিলেন ক্যাপ্টেন আবু ওসমান চৌধুরী ও ক্যাপ্টেন নাজমুল হুদা। এ সেক্টরের অধীনে মুক্তিযোদ্ধাদের সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এর বাইরে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় ছিল বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্স (বিএলএফ)। এ বাহিনীর প্রধান ছিলেন আলী হোসেন মনি এবং ডেপুটি প্রধান ছিলেন রবিউল আলম।
সংস্থাপন মন্ত্রণালয় প্রকাশিত ‘যশোর গেজেটিয়ার’-এ উল্লেখ করা হয়েছে, ৬ তারিখ সন্ধ্যা হতে না হতেই পাকবাহিনীর সবাই যশোর ক্যান্টনমেন্ট ত্যাগ করে পালিয়ে যায়। ৭ ডিসেম্বর বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ ৮ নম্বর সেক্টরের অধিনায়ক মেজর মঞ্জুর ও মিত্র বাহিনীর নবম ডিভিশনের কমান্ডার মেজর জেনারেল দলবীর সিং যশোরে প্রবেশ করেন। তখনও তারা জানতেন না যে যশোর ক্যান্টনমেন্ট শূন্য। তারা বিস্মিত হন কোনও প্রতিরোধ না দেখে।
প্রসঙ্গত, স্বাধীনতার পর থেকে ৭ ডিসেম্বরকেই যশোর মুক্ত দিবস হিসেবে পালন করা হতো। কিন্তু, মুক্তিযোদ্ধা ও ইতিহাসবিদদের দেওয়া তথ্যমতে ২০১০ সাল থেকে ৬ ডিসেম্বর যশোর মুক্ত দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে।
৮ ডিসেম্বর যশোর শহরের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেয় মুক্তিবাহিনী।
১০ ডিসেম্বর প্রথম শত্রুমুক্ত জেলা যশোরের জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব নেন ওয়ালিউল ইসলাম। ১১ ডিসেম্বর প্রথম শত্রুমুক্ত জেলা যশোরে টাউন হল মাঠে জনসভা হয়। সেখানে ছিলেন মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ ও অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রমুখ। অফিস-আদালতে কার্যক্রম শুরু হয় ১২ ডিসেম্বর।
প্রশ্ন লিস্ট করে পড়তে লগইন করুন।
where_to_voteপ্রশ্ন: তেভাগা আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন কোন সাহসী নারী? ২০১৯
(ক) ইলা মিত্র | (খ) প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার |
(গ) রানী ভবানী | (ঘ) সুমিত্রা দেবী |
উত্তর: ইলা মিত্র
তেভাগা আন্দোলন ১৯৪৬ সালের ডিসেম্বর -এ শুরু হয়ে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত চলে। বর্গা বা ভাগ-চাষীরা এতে অংশ নেয়। মোট উৎপন্ন ফসলের তিন ভাগের দুইভাগ পাবে চাষী, এক ভাগ জমির মালিক- এই দাবি থেকেই তেভাগা আন্দোলনের সূত্রপাত। এর আগে বর্গাপ্রথায় জমির সমস্ত ফসল মালিকের গোলায় উঠত এবং ভূমিহীন কৃষক বা ভাগ-চাষীর জন্য উৎপন্ন ফসলের অর্ধেক বা আরও কম বরাদ্দ থাকত। যদিও ফসল ফলানোর জন্য বীজ ও শ্রম দু'টোই কৃষক দিত। তৎকালীন পূর্ব বাংলা এবং পশ্চিমবঙ্গে এই আন্দোলন সংগঠিত হয়। তবে দিনাজপুর ও রংপুর জেলায় এই আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করেছিল।
প্রশ্ন লিস্ট করে পড়তে লগইন করুন।
where_to_voteপ্রশ্ন: বাংলার প্রথম স্বাধীন নবাব কে ছিলেন? ২০১৯
(ক) আলীবদী খান | (খ) বাহাদুর শাহ্ |
(গ) মুর্শিদ কুলি খান | (ঘ) সিরাজ-উদ্-দৌলা |
উত্তর: মুর্শিদ কুলি খান
মুর্শিদকুলি খাঁ
জন্মঃ ১৬৬৫
মৃত্যুঃ জুন ৩০, ১৭২৭
পূর্বসূরীঃ মুঘল সাম্রাজ্য
বাংলার নবাবঃ ১৭১৭ - ১৭২৭
উত্তরসূরীঃ সুজা-উদ-দীন মুহাম্মদ খান
মুর্শিদ কুলি খান ছিলেন বাংলার প্রথম নবাব। এছাড়াও বিভিন্ন নথি-পত্র নির্দেশ করে তিনিই মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের মৃত্যুপরবর্তী প্রথম স্বাধীন নবাব। তার উপর মুঘল সাম্রাজ্যের নামমাত্র আধিপত্য ছিল, সকল ব্যবহারিক উদ্দেশ্যেই তিনি বাংলার নবাব ছিলেন।
তার পরিবার সম্পর্কে কয়েক প্রকার মতভেদ রয়েছে। প্রথম সংস্করণমতে মুর্শিদ কুলি খানকে, হাজি শফি ইসফাহানি নামে ইরানের একজন উচ্চপদস্থ মুঘল কর্মকর্তা ক্রীতদাস হিসেবে ক্রয় করেন। ইসফাহানিই তাকে শিক্ষিত করে তুলেন। ভারতে ফেরার পর তিনি মুঘল সাম্রাজ্যে যোগদান করেন। ১৭১৭ সালে সম্রাট আওরঙ্গজেব তাকে কার্তালাব খান নামে ইসলাম ধর্মে স্থানান্তরিত করেন ও বাংলার গভর্নর নিযুক্ত করেন। অপর সংস্করনমতে তিনি ছিলেন, মারাঠা জেনারেল মুহাম্মদ কুলি খানের নাতি। কিন্তু সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো মুর্শিদ কুলি খান দরিদ্র দাক্ষিণাত্য মালভূমি ওড়িয়া ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ক্রীতদাস হিসেবে বিক্রি হওয়ার পূর্বেই পারস্যের বণিক ইসফাহান তাকে ক্রয় করে ইসলাম ধর্মে স্থানান্তরিত করেন এবং নাম পরিবর্তন করে মুহাম্মদ হাদী বা মির্জা হাদী রাখেন। তিনি বেরার প্রদেশের দেওয়ান হাজী আব্দুল্লাহ কুরাইশির অধীনে চাকরি নেন। পরবর্তীতে বেরার প্রদেশের দেওয়ান সম্রাট আওরঙ্গজেবের অধীনে চলে আসে।
প্রশ্ন লিস্ট করে পড়তে লগইন করুন।
where_to_voteপ্রশ্ন: কোন সাহিত্যিক মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য 'বীরপ্রতীক' খেতাব লাভ করেন? ২০১৯
(ক) গাজীউল হক | (খ) শওকত ওসমান |
(গ) আব্দুস সাত্তার | (ঘ) জহির রায়হান |
উত্তর: আব্দুস সাত্তার
প্রশ্ন লিস্ট করে পড়তে লগইন করুন।
where_to_voteপ্রশ্ন: ১৯৭১ সালে প্রথম কোন কূটনৈতিক বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেন? ২০১৯
(ক) এম. হোসেন আলী | (খ) এস এ নবী |
(গ) এম মহিউদ্দিন খান | (ঘ) আব্দুস সামাদ |
উত্তর: এম. হোসেন আলী
প্রশ্ন লিস্ট করে পড়তে লগইন করুন।
where_to_voteপ্রশ্ন: পাকিস্তানের Constituent Assembly এর ধারা বিবরণীতে বাংলা ভাষা ব্যবহারের দাবি প্রথম কে তুলেছিলেন? ২০১৯
(ক) শেখ মুজিবুর রহমান | (খ) ড. মুহম্মদ শহিদুল্লাহ |
(গ) ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত | (ঘ) আবুল হাশেম |
উত্তর: ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত
গণপরিষদে ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের রাষ্ট্রভাষার দাবি
১৯৪৮ সালের ২৩শে ফেব্রুয়ারি তারিখে পাকিস্তান গণপরিষদে ইংরেজি ও উর্দুর পাশাপাশি সদস্যদের বাংলায় বক্তৃতা প্রদান এবং সরকারি কাজে বাংলা ভাষা ব্যবহারের জন্য একটি সংশোধনী প্রস্তাব উত্থাপন করেন গণপরিষদ সদস্য ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত। ইংরেজিতে প্রদত্ব বক্তৃতায় বাংলাকে অধিকাংশ জাতিগোষ্ঠীর ভাষা হিসেবে উল্লেখ করে ধীরেন্দ্রনাথ বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দেয়ার দাবি তোলেন। এছাড়াও সরকারি কাগজে বাংলা ভাষা ব্যবহার না করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানান তিনি।
সংসদ সদস্য প্রেমহরি বর্মন, ভূপেন্দ্র কুমার দত্ত এবং শ্রীশচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তার এ প্রস্তাবকে স্বাগতঃ জানান। তারা পূর্ব পাকিস্তান থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন এবং তাদের এ সমর্থনের মাধ্যমে মূলত পূর্ব পাকিস্তানের স্বাভাবিক মতামতই প্রতিফলিত হয়েছিল। তমিজুদ্দিন খানের নেতৃত্বে পরিষদের সকল মুসলমান সদস্য (সবাই মুসলিম লীগের) একযোগে এ প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন। খাজা নাজিমুদ্দিন এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে বক্তৃতা দেন। তিনি বলেন যে, “পূর্ব বাংলার অধিকাংশ মানুষ চায় রাষ্ট্রভাষা উর্দু হোক” । পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলি খান এ প্রস্তাবটিকে পাকিস্তানে বিভেদ সৃষ্টির অপচেষ্টা বলে উল্লেখ করেন। উর্দুকে লক্ষ কোটি মুসলমানের ভাষা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা কেবলমাত্র উর্দুই হতে পারে” । অনেক বিতর্কের পর সংশোধনীটি ভোটে বাতিল হয়ে যায়। সংসদীয় দলের আপত্তির কারণে অনেক বাঙালি মুসলমান সদস্য ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত উত্থাপিত সংশোধনীটিকে সমর্থন করতে পারেননি।
প্রশ্ন লিস্ট করে পড়তে লগইন করুন।
where_to_voteপ্রশ্ন: পূর্ববঙ্গ জমিদারী দখল ও প্রজাস্বত্ব আইন কবে প্রণীত হয়? ২০১৯
(ক) ১৯৪৮ সালে | (খ) ১৯৫৪ সালে |
(গ) ১৯৫০ সালে | (ঘ) ১৯৫৬ সালে |
উত্তর: ১৯৫০ সালে
পূর্ববঙ্গ জমিদারি অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন, ১৯৫০ এই আইনে পূর্ববাংলায় জমিতে খাজনা সংগ্রাহক ও অন্যান্য স্বার্থধারীদের তালুক অধিগ্রহণের বিধান, তালুকে প্রজাদের সঙ্গে সম্পর্ক এবং এর সঙ্গে সম্পর্কিত আরও অন্যান্য বিষয়ের আইনগত সম্পর্ক সংজ্ঞায়িত করার বিধান রয়েছে। আইনটি পাশের আগে এদেশের কৃষিসংক্রান্ত আইন বলতে প্রধানত ছিল ১৭৯৩ সালের বঙ্গীয় চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রবিধান ও বঙ্গীয় প্রজাস্বত্ব আইন, ১৮৮৫। বঙ্গীয় চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রবিধান সরকারকে নির্ধারিত অঙ্কের রাজস্ব নিয়মিত পরিশোধের শর্তে জমিদারদেরকে জমির মালিক করে দেয় আর তার সঙ্গে তারা তাদের অধীন বন্দোবস্তধারীদের কাছ থেকে খাজনা আদায়েরও অধিকারী হয়। শেষোক্ত পক্ষ আবার জমিতে তাদের অধস্তন স্বার্থধারী সৃষ্টি করার অধিকারী হয়। ১৭৯৩ সালের বঙ্গীয় চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রবিধান একশ্রেণির জমিমালিক অভিজাত গোষ্ঠীর জন্ম দেয়। এদের সম্পর্কে ব্রিটিশদের প্রত্যাশা ছিল যে, এরপর তারা ব্রিটিশ শাসক কর্তৃপক্ষের অনুগত থাকবে। এছাড়া বঙ্গীয় প্রজাস্বত্ব আইন ঊর্ধ্বতন ভূমি মালিকদের সঙ্গে প্রজা বা রায়তের সম্পর্কের ক্ষেত্রে অধিকার ও দায়দায়িত্ব নির্ধারণ করে।
সময়ের বিবর্তনে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের উপযোগিতা ফুরিয়ে গেলে ভূমি সংস্কারের দাবি ওঠে। এর পরিণামে ১৯৩৮ সালে স্যার ফ্রান্সিস ফ্লাউডের সভাপতিত্বে এক উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ভূমিসংস্কার কমিশন গঠিত হয়। আরোপিত অন্যান্য দায়িত্বের সঙ্গে স্যার ফ্রান্সিস ফ্লাউডের অন্যতম কাজ ছিল প্রকৃত জমি-চাষিকে সরাসরি সরকারের সঙ্গে সম্পর্কিত করার জন্য জমিতে সকল ঊর্ধ্বতন স্বার্থধারীর স্বার্থ অধিগ্রহণ বাস্তব অর্থে সরকারের জন্য বাঞ্ছনীয় হবে কি-না সে সম্পর্কে সরকারের কাছে প্রতিবেদন পেশ করা। সরকার ভূমি রাজস্ব কমিশনের সুপারিশ বিবেচনায় আনে এবং বাস্তবায়নের জন্য ১৯৪৭ সালের ১০ এপ্রিল ব্যবস্থাপক পরিষদে বঙ্গীয় প্রজাস্বত্ব আইন উত্থাপন করে। তবে ভারত বিভাগের কারণে এ বিষয়ে আর কোন অগ্রগতি হয় নি। দেশ বিভাগের পর পূর্ববঙ্গ জমিদারি অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব বিল প্রণয়ন করে ১৯৪৮ সালের ৩১ মার্চ তা প্রকাশ করা হয়। তারপর এই বিলটিকে আইন পরিষদের বিশেষ কমিটিতে পাঠানো হয়। এই পরিপ্রেক্ষিতে বিলটি পাস হওয়ার পর ১৬ মে ১৯৫১ সালে বিলে প্রয়োজনীয় অনুমোদনমূলক সম্মতি পাওয়া যায়।
প্রশ্ন লিস্ট করে পড়তে লগইন করুন।
where_to_voteপ্রশ্ন: সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা কর্ম পরিষদ কবে গঠন করা হয়? ২০১৯
(ক) ১৯৫২ সালের ৩০ জানুয়ারী | (খ) ১৯৪৯ সালের ৯ মার্চ |
(গ) ১৯৫২ সালের ২ মার্চ | (ঘ) ১৯৪৮ সালের ২ মার্চ |
উত্তর: ১৯৪৮ সালের ২ মার্চ
সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা কর্মী পরিষদ কবে গঠন করা হয় ? ১৯৫২ সালের ৩১ জানুয়ারি।
প্রশ্ন লিস্ট করে পড়তে লগইন করুন।
where_to_voteপ্রশ্ন: বাংলাদেশের সংবিধানের ব্যাখ্যাকারক কে? ২০১৯
(ক) এটনী জেনারেল | (খ) জাতীয় সংসদ |
(গ) মহামান্য রাষ্ট্রপতি | (ঘ) সুপ্রিমকোর্ট |
উত্তর: সুপ্রিমকোর্ট
প্রশ্ন লিস্ট করে পড়তে লগইন করুন।
where_to_vote