পৃষ্ঠাটি লোড হচ্ছে . . .
দয়াকরে অপেক্ষা করুন।
"লোডিং সময়" আপনার ইন্টারনেট স্পিড এর উপর নির্ভরশীল।
প্রশ্ন: 'সন্ধি' ব্যাকরণের কোন অংশের আলোচ্য বিষয়? ১৮তম বিসিএস
| (ক) রূপতত্ত্ব | (খ) বাক্য প্রকরণ |
| (গ) পদক্রম | (ঘ) ধ্বনিতত্ত্ব |
উত্তর: ধ্বনিতত্ত্ব
সন্ধি বাংলা ব্যাকরণের ধ্বনিতত্ত্ব অংশের আলোচ্য বিষয়, যেখানে দুটি সন্নিহিত ধ্বনির মিলন বা ধ্বনির পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা করা হয়, যা নতুন শব্দ গঠনে সাহায্য করে।
বিস্তারিত:
ধ্বনিতত্ত্ব (Phonology): ব্যাকরণের যে অংশে ধ্বনির উচ্চারণ, ধ্বনির বিন্যাস, ধ্বনির মিলন (সন্ধি), ধ্বনির পরিবর্তন (যেমন: স্বরসন্ধি, ব্যঞ্জনসন্ধি, বিসর্গ সন্ধি) ও লোপ নিয়ে আলোচনা করা হয়, তাকে ধ্বনিতত্ত্ব বলে।
সন্ধির কাজ: ধ্বনি ও বর্ণের মিলন ঘটানো, যা শব্দকে সংক্ষিপ্ত ও শ্রুতিমধুর করে তোলে (উদাহরণ: 'বিদ্যা' + 'আলয়' = 'বিদ্যালয়')
প্রশ্ন লিস্ট করে পড়তে লগইন করুন।
প্রশ্ন: কোনটি অপ্রানীবাচক শব্দের বহু বচনে ব্যবহৃত হয়? ১৮তম বিসিএস
| (ক) বৃন্দ | (খ) কুল |
| (গ) বর্গ | (ঘ) দাম |
উত্তর: দাম
অপ্রাণিবাচক শব্দের বহুবচনে ব্যবহৃত হয় এমন কিছু শব্দ হলো কুল, সকল/সমূহ, রাশি, মালা, নিকর, পুঞ্জ, দাম, কল, নিচয়, আবলি ইত্যাদি। এই শব্দগুলো বিশেষ্য পদের পরে বসে তাদের বহুবচন রূপ তৈরি করে, যেমন – পক্ষিকুল (পাখির দল), পুষ্পমাল্য (ফুলের মালা), গ্রহরাশি (গ্রহের সমষ্টি), পর্বতমালা (পর্বতের সারি) ইত্যাদি।
কুল: পক্ষিকুল, কুকুল (কুকুরের দল)
সকল/সমূহ: গ্রহসকল, গ্রহসমূহ
রাশি: গ্রহরাশি, মেঘরাশি
মালা: পর্বতমালা, পুষ্পমাল্য
নিকর: শৈবালনিকর, সীতানিকর
পুঞ্জ: মেঘপুঞ্জ, তারা পুঞ্জ
দাম: শৈবালের দাম
কল: নিচয়, কল
আবলি: পর্বতালি
প্রশ্ন লিস্ট করে পড়তে লগইন করুন।
প্রশ্ন: বাক্যের ক্ষুদ্র তম একক কোনটি? ১৮তম বিসিএস
| (ক) চিহ্ন | (খ) বর্ণ |
| (গ) শব্দ | (ঘ) ধ্বনি |
উত্তর: শব্দ
প্রশ্ন লিস্ট করে পড়তে লগইন করুন।
প্রশ্ন: সন্ধির প্রধান সুবিধা কি? ১৮তম বিসিএস
| (ক) শোনার সুবিধা | (খ) উচ্চারণের সুবিধা |
| (গ) পড়ার সুবিধা | (ঘ) লেখার সুবিধা |
উত্তর: উচ্চারণের সুবিধা
সন্ধি এর অর্থ মিলন। সন্নিহিত দুটি ধ্বনি মিলিয়ে একটি ধ্বনিতে পরিণত হওয়াকে বা পরস্পর সন্নিহিত দুই বর্ণের মিলনকে সন্ধি বলে। সন্ধি বাংলা ব্যাকরণের ধ্বনিতত্ব অংশে আলোচিত হয়। ধ্বনিগত মাধুর্য এবং স্বাভাবিক উচ্চারণে সহজপ্রবণতা সন্ধির উদ্দেশ্য।
প্রশ্ন লিস্ট করে পড়তে লগইন করুন।
প্রশ্ন: কোন বানান টি শুদ্ধ? ১৮তম বিসিএস
| (ক) সমিচিন | (খ) সমীচীন |
| (গ) সমিচীন | (ঘ) সমীচিন |
উত্তর: সমীচীন
সঠিক বানানটি হলো ক. সমীচীন, যেখানে 'ম'-এর সাথে দীর্ঘ ঈ-কার (ী) এবং 'চ'-এর সাথে দীর্ঘ ঈ-কার (ী) ব্যবহৃত হয়; এর অর্থ সঙ্গত, উচিত বা উপযুক্ত।
সঠিক: সমীচীন (সঙ্গতঃ উচিত, উপযুক্ত)
ভুল: সমিচীন, সমীচিন, সমিচিন
প্রশ্ন লিস্ট করে পড়তে লগইন করুন।
প্রশ্ন: কোন বইটি কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত নয়? ১৮তম বিসিএস
| (ক) সোনারতরী | (খ) শেষের কবিতা |
| (গ) দোলনচাঁপা | (ঘ) মানসী |
উত্তর: দোলনচাঁপা
সঠিক উত্তর হলো দোলনচাঁপা, কারণ এটি কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত একটি কাব্যগ্রন্থ, যেখানে শেষের কবিতা, সোনারতরী এবং মানসী হলো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত সৃষ্টি।
শেষের কবিতা, সোনারতরী, মানসী: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা
প্রশ্ন লিস্ট করে পড়তে লগইন করুন।
প্রশ্ন: কাজী ইমদাদুল হকের 'আব্দুল্লাহ' উপন্যাসের উপজীব্য কী? ১৮তম বিসিএস
| (ক) তৎকালীন মুসলিম মধ্যবিত্ত সমাজের চিত্র | (খ) মুসলিম জমিদার শ্রেণীর জীবন কাহিনী |
| (গ) চাষী জীবনের করুণ চিত্র | (ঘ) কৃষক সমাজের সংগ্রামশীল জীবন |
উত্তর: তৎকালীন মুসলিম মধ্যবিত্ত সমাজের চিত্র
প্রশ্ন লিস্ট করে পড়তে লগইন করুন।
প্রশ্ন: ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটি কবি নজরুল ইসলামের কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত? ১৯তম বিসিএস
| (ক) অগ্নিবীণা | (খ) বিষের বাঁশি |
| (গ) দোলনচাঁপা | (ঘ) বাঁধনহারা |
উত্তর: অগ্নিবীণা
‘বিদ্রোহী’ কবিতাটি কাজী নজরুল ইসলামের বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ 'অগ্নি-বীণা'-এর অন্তর্গত, যা তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ এবং ১৩২৯ বঙ্গাব্দের কার্তিক মাসে (১৯২২) প্রকাশিত হয়েছিল।
কাব্যগ্রন্থ: অগ্নি-বীণা
প্রকাশকাল: ১৩২৯ বঙ্গাব্দ (অক্টোবর, ১৯২২)
বিশেষত্ব: এটি নজরুলের প্রথম ও সবচেয়ে জনপ্রিয় কাব্যগ্রন্থগুলোর একটি, যেখানে 'বিদ্রোহী' কবিতাটি দ্বিতীয় কবিতা হিসেবে স্থান পেয়েছে
প্রশ্ন লিস্ট করে পড়তে লগইন করুন।
প্রশ্ন: ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’র রচিয়তা কে ? ১৯তম বিসিএস
| (ক) শামসুর রহমান | (খ) হাসান হাফিজুর রহমান |
| (গ) আবদুল গাফফার চৌধুরী | (ঘ) আলতাফ মাহমুদ |
উত্তর: আবদুল গাফফার চৌধুরী
‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ গানটির রচয়িতা হলেন সাংবাদিক ও লেখক ** আব্দুল গাফফার চৌধুরী** এবং গানটির সুর করেছেন ** আলতাফ মাহমুদ** (বর্তমানে প্রচলিত সুর). এটি ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিবিজড়িত একটি কালজয়ী গান, যা ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসকে ধারণ করে.
রচয়িতা: আব্দুল গাফফার চৌধুরী
সুরকার: আলতাফ মাহমুদ (বর্তমানে বহুল প্রচলিত সুরটি)
প্রকাশকাল: ১৯৫৩ সালে হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদিত 'একুশে ফেব্রুয়ারি' নামক সংকলনে এটি প্রথম প্রকাশিত হয়
প্রশ্ন লিস্ট করে পড়তে লগইন করুন।
প্রশ্ন: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছদ্মনাম হল? ১৯তম বিসিএস
| (ক) বনফুল | (খ) টেকচাঁদ |
| (গ) ভানুসিংহ ঠাকুর | (ঘ) মুকুন্দরাম |
উত্তর: ভানুসিংহ ঠাকুর
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সবচেয়ে পরিচিত ছদ্মনাম হলো ভানুসিংহ ঠাকুর, যা তিনি কৈশোরে বৈষ্ণব পদাবলীর অনুকরণে কবিতা লেখার সময় ব্যবহার করতেন; এছাড়াও তিনি আন্নাকালী পাকড়াশী, দিকশূন্য ভট্টাচার্য, অকপটচন্দ্র ভাস্কর, এবং নারীদের ছদ্মনাম যেমন শ্রীমতী কনিষ্ঠা ও শ্রীমতী মধ্যমা** সহ আরও কিছু ছদ্মনাম ব্যবহার করেছেন।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ ছদ্মনাম:
ভানুসিংহ ঠাকুর: তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত ছদ্মনাম, যা 'ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী' নামে প্রকাশিত হয়েছিল।
আন্নাকালী পাকড়াশী: এটিও একটি পরিচিত ছদ্মনাম।
দিকশূন্য ভট্টাচার্য: এটিও তাঁর ব্যবহৃত ছদ্মনামগুলির মধ্যে অন্যতম।
অকপটচন্দ্র ভাস্কর: আরেকটি উল্লেখযোগ্য ছদ্মনাম
প্রশ্ন লিস্ট করে পড়তে লগইন করুন।
প্রশ্ন: ‘দ্য লিবারেশন অফ বাংলাদেশ’ গ্রন্থের রচয়িতা‒ ১৯তম বিসিএস
| (ক) মেজর জেনারেল সুখওয়ান্ত সিং | (খ) কর্নেল সিদ্দিক মালিক |
| (গ) রশীদ করিম | (ঘ) রফিকুল ইসলাম |
উত্তর: মেজর জেনারেল সুখওয়ান্ত সিং
"দ্য লিবারেশন অব বাংলাদেশ" গ্রন্থের রচয়িতা হলেন মেজর জেনারেল সুখওয়ান্ত সিং। তিনি ১৯৭৮ সালে বইটি রচনা করেন এবং এতে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ ও ১৬ ডিসেম্বরের আত্মসমর্পণের ঘটনাগুলো তুলে ধরেন।
লেখক: মেজর জেনারেল সুখওয়ান্ত সিং (ভারতীয় সেনাবাহিনী)
প্রকাশকাল: ১৯৭৮ সাল
বিষয়বস্তু: ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং ১৬ ডিসেম্বরের আত্মসমর্পণের ঘটনা
প্রশ্ন লিস্ট করে পড়তে লগইন করুন।
প্রশ্ন: বাগেরহাট খানজাহান আলীর প্রতিষ্ঠিত মসজিদটি কত গম্বুজ বিশিষ্ট? ১৯তম বিসিএস
| (ক) একাশি | (খ) আশি |
| (গ) সাতাশি | (ঘ) ষাট |
উত্তর: একাশি
প্রশ্ন লিস্ট করে পড়তে লগইন করুন।
প্রশ্ন: 'পদ' বলতে কি বোঝায়? ২০তম বিসিএস
| (ক) বিভক্তিযুক্ত শব্দ বা ধাতু | (খ) প্রত্যয়ান্ত শব্দ বা ধাতু |
| (গ) কবিতার চরণ | (ঘ) যে কোন শব্দ |
উত্তর: বিভক্তিযুক্ত শব্দ বা ধাতু
'পদ' বলতে বোঝায় বাক্যে ব্যবহৃত বিভক্তিযুক্ত শব্দ বা ধাতুকে, যা বাক্যের অর্থ প্রকাশে সাহায্য করে; এটি ব্যাকরণের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা মূলত বিশেষ্য, বিশেষণ, সর্বনাম ও ক্রিয়া—এই চার ভাগে বিভক্ত এবং একটি ভাষার গঠন বুঝতে সাহায্য করে।
মূল বিষয়:
সংজ্ঞা: শব্দ যখন বাক্যে ব্যবহৃত হয় এবং তার সাথে বিভক্তি যুক্ত হয়, তখন সেই শব্দকে 'পদ' বলা হয়।
উদাহরণ: 'আমি' একটি শব্দ, কিন্তু 'আমি যাই' বাক্যে 'আমি' ও 'যাই' উভয়ই পদ।
প্রকারভেদ: পদ প্রধানত দুই প্রকার (সব্যয় ও অব্যয়) এবং সব্যয় পদ আবার চার প্রকার:
বিশেষ্য (Noun): নাম বোঝায় (যেমন: রহিম, ঢাকা, বই)।
বিশেষণ (Adjective): বিশেষ্য বা সর্বনামের দোষ, গুণ, অবস্থা বোঝায় (যেমন: সুন্দর, নীল, ভালো)।
সর্বনাম (Pronoun): বিশেষ্যের পরিবর্তে বসে (যেমন: সে, তিনি, আমি)।
ক্রিয়া (Verb): কাজ করা বা ঘটা বোঝায় (যেমন: খাওয়া, যাওয়া, পড়া)
প্রশ্ন লিস্ট করে পড়তে লগইন করুন।
প্রশ্ন: কোন বানাটি শুদ্ধ? ২০তম বিসিএস
| (ক) শুশ্রুষা | (খ) সুশ্রুষা |
| (গ) শুশ্রূষা | (ঘ) সুশ্রুষা |
উত্তর: শুশ্রূষা
শুশ্রূষা বানানটি-ই একমাত্র শুদ্ধ বানান। এই শব্দটির অর্থ হল রোগীর পরিচর্যা বা সেবা করা, অথবা শোনার ইচ্ছা।
কেন অন্য অপশনগুলো ভুল
সুশ্রুষা - এই বানানে প্রথম 'স'-তে হ্রস্ব উ-কার এবং শেষ 'ষ'-তে হ্রস্ব আ-কার ব্যবহার করা হয়েছে, যা ব্যাকরণগতভাবে ভুল।
সুশ্রুসা - এই বানানে প্রথম 'স'-তে হ্রস্ব উ-কার এবং শেষ 'স'-তে দন্ত্য 'স' ব্যবহার করা হয়েছে, যা ভুল।
শুশ্রুষা - এই বানানে প্রথম 'শ'-তে হ্রস্ব উ-কার এবং শেষ 'ষ'-তে হ্রস্ব আ-কার ব্যবহার করা হয়েছে। যদিও কিছু ক্ষেত্রে এটি সঠিক বানান হিসেবে দেখানো হয়েছে, তবে প্রমিত বাংলা বানানে দীর্ঘ ঊ-কার (ূ) এবং মূর্ধন্য 'ষ' (ষ) ব্যবহৃত হয়, অর্থাৎ শুশ্রূষা
প্রশ্ন লিস্ট করে পড়তে লগইন করুন।
প্রশ্ন: ‘ঠোঁট-কাটা’ বলতে কী বোঝায়? ২০তম বিসিএস
| (ক) মিথ্যাবাদী | (খ) স্পষ্টভাষী |
| (গ) পক্ষপাতদুষ্ট | (ঘ) অহংকারী |
উত্তর: স্পষ্টভাষী
'ঠোঁট কাটা' বাগধারাটির অর্থ হলো স্পষ্টভাষী, অর্থাৎ যে ব্যক্তি কোনো কিছু বলতে দ্বিধা করে না এবং সরাসরি ও নির্ভয়ে কথা বলে, তাকেই 'ঠোঁট কাটা' বলা হয়; এর আরেকটি অর্থ বেহায়া বা নির্লজ্জও হতে পারে। এটি এমন ব্যক্তিকে বোঝায় যিনি যা মনে আসে তাই বলে দেন, কোনো রাখঢাক করেন না
প্রশ্ন লিস্ট করে পড়তে লগইন করুন।